এ আই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) এর মাধ্যম অনলাইনে ইনকাম। How to income with AI

Tofael Ahmed
By -
0



 
 

  এ আই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) এর মাধ্যম অনলাইনে ইনকাম। How to income with AI

 

 (toc) #title=(এক নজরে সম্পূর্ণ লেখা-)

ইন্টারনেট মানুষের জীবনে নানা রকম প্রভাব ফেলছে। তাই মানুষ অনলাইনে ইনকাম জন্য নানা রকম কৌশল অবলম্বন করছে। অনলাইনে ইনকাম জন্য নানা  রকম পথও তৈরি হয়েছে। তবে অনলাইনে কাজ করে ইনকাম করতে গেলে কোন প্ল্যাটফর্ম ধরে এগোচ্ছেন, সে বিষয়ে অনেক জ্ঞান থাকতে হব।তবে বর্তমানে  এ আই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) এর মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করা আরো সহজ হয়েছে

আপনি AI দিয়ে অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন?

এ আই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) এর মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করার  সুযোগ থাকলেও অনেক সময় আপনি  প্রতারণার মুখে পড়তে হতে পারেন। অনলাইনে কাজ করে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে  যায় এমনটা ভাবনা সম্পন্ন ভুল ধারণা। তাই এ ধরনের প্রতারণামূলক কাজের প্লাটফর্ম থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে হবে। অনলাইনে ইনকাম করার প্ল্যাটফর্ম, ওয়েবসাইট ও রিসোর্স আছে, যা কাজে লাগিয়ে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারেন।

যে  সাইট থেকে  আমরা অনলাইনে আয় করতে পারি সে সম্পর্কে জেনে নিন :

১. ফ্রিল্যান্সিংঃ

এ আই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) এর মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে কাজ করার বিষয়টি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতার ওপর নির্ভর করে ফ্রিল্যান্স কাজের সুযোগ করে দেয় অনলাইনে ইনকাম কয়েকটি ওয়েবসাইট। যেখানে অ্যাকাউন্ট খুলে দক্ষতা অনুযায়ী কাজের জন্য আবেদন করতে হয়। বায়ার তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী যোগাযোগ করে ফ্রিল্যান্সারকে কাজ দিয়ে থাকে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এ আই এর অনেক প্লাটফর্ম আছে যে প্লাটফর্মের মাধ্যমে আপনি সহজে ইনকাম করতে পারে।কয়েকটি ওয়েবাসাইটে কাজের দক্ষতার উপর নির্ভর করে অনলাইনে ইনকাম একটি প্রোফাইল তৈরি করে রাখতে হয়, যাতে ক্রেতা সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন। এসব সাইটের মধ্যে ফাইভার ডটকম, আপওয়ার্ক ডটকম, ফ্রিল্যান্সার ডটকম ও ওয়ার্কএনহায়ার ডটকমে ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাওয়া যায়।এ আই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) এর মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করার জন্য আপনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দক্ষ হলে আজই একটি প্রোফাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম প্রতি ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত আয় করা যায় এসব সাইট থেকে।অনলাইনে ইনকাম সময় মনে রাখতে হবে, কাজ শেষ করার পর কাজদাতার অনুমোদন না পাওয়া প্রযন্ত অর্থ দেবেন  না তিনি। এ ক্ষেত্রে কাজের মানের ওপর নির্ভর করে কাজদাতা রেটিং দিতে পারে। গ্রাহকের পছন্দ না হওয়া পর্যন্ত কাজ করতে হয় ফ্রিল্যান্সারকে। বিভিন্ন অনলাইন পেমেন্ট ব্যবহার করে অর্থ আনা যায়।

২.নিজের ওয়েবসাইট তৈরিঃ

এখন নিজের ওয়েবসাইট তৈরির করে অনলাইনে ইনকাম করতে পারেনে। একটি ওয়েব সাইট তৈরি করতে আপনি চ্যাট জিপিটির মত চ্যাটবটের সাহয্য নিতে পারে। এ চ্যাটবটের মাধ্যমে আপনি সহজের একটি ওয়েব সাইট ডিজাইন করতে পারবেন। এর মধ্যে ডোমেইন নির্বাচন, টেমপ্লেট ও ওয়েবসাইট তৈরি করার নকশা ইত্যাদি। যখন পাঠক বা দর্শককে ওয়েবসাইটের বিভিন্ন কনটেন্ট সেবা দেওয়ার প্রস্তুতি নেই, তখন গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন। গুগলের বিজ্ঞাপন যখন সাইটে দেখায় বা দেখানো  শুরু করে, তখন অনলাইনে ইনকাম আসতে শুরু করবে। ওয়েবসাইটে দর্শক যত বেশি হবে, আয়ের পরিমাণ তত বাড়বে।

৩. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ

এই পদ্ধতিতে অনলাইনে ইনকাম ক্ষেত্রেও নিজের ওয়েবপেজ বা ব্লগ প্রয়োজন। আপনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্লাটফর্মগুলোকে প্রশ্ন করতে পারেন প্রশ্নের মাধ্যমে আপনি সেরা অ্যাফিলিয়েট ওয়েব সাইট খুজে পেতে পারেন যা আপনার অনলাইনে ইনকাম এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। যখন অনলাইনে ইনকাম ওয়েবসাইট বা ব্লগ চালু হবে, তখন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লিংক এর সাথে সংযুক্ত করতে পারবেন। যখন আপনার সাইট থেকে ওই প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা কোনো দর্শক কিনবেন, তখনই আপনার আয় আসতে শুরু করবে।

৪. গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ

অনলাইনে ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম ক্ষেত্রে গ্রাফিকস ডিজাইন ভালো একটি মাধ্যম। এ আই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) এর মাধ্যম আপনি সহজের আকর্ষনীয় গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে পারবেন। যাঁরা এই কাজে দক্ষ, তাঁরা বিভিন্ন ডিজাইন অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে দিয়ে রাখেন। সেখান থেকে তাদের আয় আসে। তাদের তৈরি একটি পণ্য অনেকবার বিক্রি হয়, অর্থাৎ একটি ভালো ডিজাইন থেকেই দীর্ঘদিন পর্যন্ত আয় হতে থাকে। অনলাইনে এ ধরনের অনেক ওয়েবসাইটে গ্রাফিকসের কাজ বিক্রি করা যায়। এ ছাড়া অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতেও গ্রাফিকস ডিজাইনারদের অনেক চাহিদা আছে ।

৫. অনলাইন টিউটরঃ

কোনো বিষয়ে যদি আপনার পারদর্শিতা থাকে, তবে সে বিষয়ে অনলাইনে  শিক্ষা দিতে পারেন।এটি হতে পার আপনার অনলাইন ইনকামের বিশেষ পথ। অনলাইন টিউটরদের এখন চাহিদা অনেক গুন বৃদ্ধি পেয়েছে । সকল বয়সী শিক্ষার্থীদের আপনি শিক্ষা দিতে পারবেন। এখানে অন্য দেশের শিক্ষার্থীদেরও পড়ানোর সুযোগ রয়েছে। অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অনলাইন টিউশনির সুযোগ রয়েছে। সেখানে সুবিধামতো সময়ে পড়াতে পারেন ছাত্র। এসব সাইটে নিজের দক্ষতার পরীক্ষা দিতে হয়। একবার নির্বাচিত হয়ে গেলে ওয়েবিনার পরিচালক হিসেবে অনলাইন সেশন পরিচালনা করতে পারেন। দক্ষতা বাড়লে এখান থেকে অনেক অনলাইনে ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে।

৬. সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যঃ

অনলাইনে ইনকাম আপনি ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট এখন  বন্ধুদের সঙ্গে শুধু  যোগাযোগের জন্য নয়। এগুলো কাজে লাগিয়ে আপনি অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ডের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া পরিকল্পকদের প্রচুর অর্থ দেওয়া হয় তাদের ব্র্যান্ডের প্রচার করার জন্য। অনলাইনে গ্রাহক টানা, প্রচার করার জন্য অবশ্য সৃজনশীলতা দরকার। বিভিন্ন পোস্ট তৈরি, ভিডিওর মাধ্যমে ফেসবুক বা অন্যান্য মাধ্যমে প্রকাশ করে তা ভাইরাল করতে পারলে ভালো অনলাইনে ইনকাম আসে। তবে অনলাইনে ইনকামের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্যান-ফলোয়ার তৈরিসহ তাঁদের ধরে রাখতে প্রচুর ধৈর্য ধারণ করতে হয়।

৭ . ব্লগিঃ

এ আই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) এর মাধ্যম আপনি আর্টিকেল লিখে ব্লগিং করে অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন। এর জন আপনাকে চ্যাটজিপিটি নামক চ্যাটবট ব্যবহার করতে হবে। অনেকে শখ করে অনেক বিষয়ে লেখেন। কিন্তু শখের বিষয়টি যদি পেশাগত কাজে লাগাতে পারেন অনলাইনে ইনকামের জন্য, তবে আপনি অনলাইনে আয় করতে পারবেন। ব্লগিং করে আয় করার অনেক সুযোগ  রয়েছে।দুইটি উপায়ে ব্লগ থেকে অনলাইনে ইনকাম করা যায়। একটি হচ্ছে নিজের ব্লগ সাইট তৈরি করে। ওয়ার্ডপ্রেস বা টাম্বলার প্ল্যাটফর্মে বিনা মূল্যে ব্লগ শুরু করতে পারেন। আবার চাইলে নিজে ডোমেইন হোস্টিং কিনে ব্লগ চালু করতে পারবেন। তবে নিজে ব্লগ চালু করতে গেলে কিছু বিনিয়োগ করার দরকার হয়। ডোমেইন, হোস্টিং কিনতে হয়। নিজের ব্লগ শুরু করাটাই ভালো। কারণ, এতে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী অনেক পরিবর্তন করার সুযোগ আছে।অনলাইনে ইনকাম হয় বিজ্ঞাপন, ফেসবুকের ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল, পণ্যের পর্যালোচনা ইত্যাদি নানা উপায়ে ব্লগ থেকে আয় করতে পারেন। তবে ব্লগ লিখে অনলাইনে ইনকাম করতে গেলে রাতারাতি আয় আসবে না। এ জন্য প্রচুর সময় ও ধৈর্য থাকতে হবে। অনেকের ব্লগ থেকে আয় করতে কয়েক বছর পর্যন্ত লেগে যায়। ব্লগে নিয়মিত কনটেন্ট আপডেটসহ  সক্রিয় রাখতে প্রতিদিন কাজ করে যেতে হয়।

 ৮. ওয়েব ডিজাইনঃ

 এ আই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) এর চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে আপনি একটি ওয়েব সাইট সহজেই তৈরি করতে পারেন। এখন অনলাইনে ইনকাম ক্ষেত্রে ওয়েব ডিজাইনের চাহিদা ব্যাপক। যে কোনো প্রজেক্টে ২০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত খুব সহজে অনলাইনে ইনকাম করা যায়। নিজেদের ওয়েবসাইট তৈরিতে তাঁদের ওয়েব ডিজাইনারের দরকার পড়ে। যাঁরা ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতে চান নিজেদের ওয়েবসাইট খুলে সেখান থেকেই ছোট ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন। ওয়েবসাইট তৈরিতে এখন কোডিং আর ওয়েব ডিজাইন দুটিই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া ওয়েবসাইট ব্যবস্থাপনা ও হালনাগাদের জন্যও ওয়েব ডিজাইনারকে দরকার পড়ে। ফলে ডিজাইনারকে বসে থাকতে হয় না। ক্লায়েন্ট ও কাজের ওপর ভিত্তি করে ওয়েব ডিজাইনারের আয় বাড়তে থাকে। 

৯.ইউটিউবঃ

এসিও করার জন্য আপনি  এ আই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) এর মাধ্যম করতে পারেন। যাঁরা ব্লগ লিখে আয় করতে স্বচ্ছন্দ নন, তাঁরা ক্যামেরার মাধ্যমে  ভিডিও থেকে অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন। এ জন্য অবশ্য সৃজনশীল আর ভালো সম্পাদনা জানতে হবে। নিজের ইউটিউব চ্যানেল খুলে তাতে ভিডিও আপলোড করে সেখান থেকে অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন। আপনার চ্যানেল কোন ক্যাটাগরির এবং তাতে কোন ধরনের ভিডিও রাখবেন, তা আগেই ঠিক করে রাখুন। যে বিষয়ে মানুষের আগ্রহ বেশি, সেই বিষয়ে ভিডিও না রাখলে মানুষ তা দেখবে না। ভিডিও না দেখলে আয় হবে না। বিষয়টি অনেকটাই ব্লগের মতো। তবে এ ক্ষেত্রে কনটেন্ট হচ্ছে ভিডিও। চ্যানেলের সাবসক্রাইবার ও ভিডিও দেখার সময় বাড়লে অনলাইনে ইনকাম সম্ভাবনা বাড়বে। প্রতি হাজার ভিউয়ের হিসাবে গুগল থেকে অর্থ আয় করতে পারবেন ।

১০. ডেটা এন্ট্রিঃ

অনলাইনে ইনকাম সহজ কাজগুলোর একটি হচ্ছে ডেটা এন্ট্রি। এ ক্ষেত্রে অবশ্য আয় খুব কম। তবে এ ধরনের কাজ অটোমেশনের কারণে এখন খুব কম পাওয়া যায়। যাঁদের কম্পিউটার, ইন্টারনেট ও দ্রুতগতির টাইপিং দক্ষতা আছে, তাঁরা এ ধরনের কাজ করতে পারবেন অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সিং সাইটে এ ধরনের কাজ রয়েছে। তবে যাঁদের কোনো কাজে দক্ষতা থাকে, তাঁরা সহজে কাজ পান এবং দ্রুত আয় বাড়াতে পারেন 
 

FAQs

১। এ আই দিয়ে কি অনলাইনে ইনকাম করা যায়?

উত্তরঃ হ্যাঁ। 
 

২। ব্লগিং করার জন্য কোন এ আই ব্যবহার করব?

উত্তরঃ চ্যাটজিপিটি।
 
 

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Check Now
Ok, Go it!