কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যত উপকার যত অপকার। AI benefits and harm.

MD. RAJIB HOSSAIN
By -
0

 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যত উপকার যত অপকার

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যত উপকার যত অপকার। AI benefits and harm.

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিন দিন আরও শক্তিশালী হচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই অগ্রতি মানুষের জন্য অনেকটা ভালো এবং ক্ষতির কারণ হতে পারে।  কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিকে ঝুঁকে পড়েছে অনেক বড় বড় কোম্পানি যারা ইতিমধ্যেই তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিভিন্ন টুলস প্রকাশ করেছে। বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো গুগুল এবং বিং এর দুইটি চ্যাটবট গুগুল বার্ড এবং কোপাইলট প্রো। আপনারা হয়তো চ্যাটজিপিটির নাম শুনেছেন। চ্যাটজিটির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দারুণ প্রতিভার কথা মোটামুটি সকলেই জানে। বর্তমানে চ্যাটজিপিটির উপর নির্ভর করে তৈরি হয়েছে চ্যাটজিপিটি স্টোর যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এক ভিন্ন জগত। আজকে আলোচনার বিষয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যত উপকার যত অপকার, আশা করছি এই লেখার মাধ্যমে আপনারা অনেককিছু জানতে পারবেন।

 

 (toc) #title=(লেখাতে যা যা থাকছে-)

 

 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি?

মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তা শক্তিকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তি নির্ভর করে যন্ত্রের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলে। মানুষের বুদ্ধিমত্তা অনুসরণ করে সেই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শক্তি তৈরি করা হয়। বিজ্ঞানের এই শাখায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করা হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে আরো শক্তিশালী করার জন্য চলছে অনেক গবেষণা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই টুলস।

বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত মানব কল্যাণের জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জিনিস আবিষ্কার করে থাকে। শুধু তাই নয় বিজ্ঞানীদের অক্রান্ত পরিশ্রমের ফল হিসেবে আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সফল যুগে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে দিন দিন মানুষের কৌতুহল বেরেই চলেছে। 

 

 আরও পড়ুনঃ কোডিয়াম (Codeium) এআই কি? কোডিয়াম আধুনিক কোডিং এর এআই সুপার পাওয়ার! (alert-success)

 

 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যত উপকার যত অপকারঃ

প্রতিটি জিনিসের কিছু ভালো এবং মন্দ দিক থাকে। ঠিক তেমনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যেমন ভাল দিক আছে ঠিক তেমনি বিপরীতভাবে মন্দ দিকও আছে। একটি গল্পের মাধ্যমে জানা যাক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার  যত উপকার যত অপকার।

সাদিক একজন নবম শ্রেণীর ছাত্র সে ফেসবুক চালানোর সময় হঠাৎ করে তার চোখে পড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর নির্ভর করে তৈরি করা চ্যাটজিপিটি। সে চ্যাটজিপিটির ব্যাপারে একটি নিউজ পড়ে জানতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন এই চ্যাটজিপিটি মানুষের যেকোন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। সে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে মজা পায় এবং সহপাঠীদের সে বিষয়টি জানায় এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে আলোচনা করে। সে আরও একটি বিষয় তার সহপাঠদের সাথে শেয়ার করে যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করে কিছু মানুষ অসাধু উপায়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো ডিফফেক প্রযুক্তি। যে প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে সহজেই কারো ছবি ভিডিও আকারে তৈরি করা যায়। ফলে এটাকে প্রতারক চক্র হাতিয়া হিসেবে ব্যবহার করছে। 

উপরের সাদিকের আলোচনা থেকে আমরা একটু বুঝতে পারছি যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির উপকারের পাশাপাশির এর অপকার আছে। 

 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যত উপকারঃ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই  বিভিন্নভাবে মানুষের উপকারে আসতে পারে তা নিচে দেওয়া হলোঃ

 

প্রডাক্ট বা উৎপাদন বৃদ্ধি: 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই কারখানার বিভিন্ন কাজে সহায়তা করে কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সহজেই উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই উৎপাদন ক্ষেত্রে বোটিক্স দক্ষতার মাধ্যমে শিল্পের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিরলসভাবে কাজ করে কারখানার বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উন্নতি করতে পারে।

 

স্বল্প সময়ে কাজের সমাপ্তিঃ

পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই অধিক সময়ের কাজগুলোকে সহজে দক্ষতার মাধ্যমে পরিসমাপ্তি করতে পারে। যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই কাজগুলো মানুষের দ্বারায় নিয়ন্ত্রিত হবে।

স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নঃ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন রোগ নির্ণয়ের কাজে খুবই দক্ষ। আমরা ইতিমধ্যেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর তৈরি প্রযুক্তির মাধ্যমে সহজেই রোগ সনাক্ত করতে পারছি। ভবিষতে রোগ নির্ণয়ের পদ্ধতি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ফলে আরও সহজ এবং নির্ভুল রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হবে।

শিক্ষাক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইঃ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই উপর ভিত্তি করে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে এর ব্যবাহা শুরু হয়েছে। ট্রেইনার হিসেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই সঠিক তথ্য দেওয়ার প্রবনতা দিন দিন বাড়ছে।


উপরোক্ত বিষয়গুলো কেবলমাত্র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অল্প সুবিধা। ভবিষতে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই সুবিধার বিশাল ক্ষেত্র তৈরি হবে।


কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যত অপকারঃ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এর কিছু সম্ভাব্য অপকারও রয়েছে।

চাকরি হারানোঃ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর ফলে সহজেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই উন্নতি হচ্ছে। বিভিন্ন অফিস বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মানুষের বিকল্প হিসেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারের উদ্যেগ নেওয়া হচ্ছে ফলে মানুষের চাকুরি হারানোর প্রবণতা বাড়ছে।


পার্থক্যঃ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এর উপাত্ত বা তথ্য বিভিন্ন উপায়ে ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করে এর ডাটাবেজে স্টোরেজ করা হয়ে থাকে বলে বিভিন্ন ভেদাভেদ বা পার্থক্য বা বৈষম্যমূলক তথ্য ছড়াতে পারে।


নিরাপত্তার অভাবঃ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এর উন্নতির সাথে সাথে বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা হতে পারে। ফলে হ্যাকারদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই মাধ্যমে হ্যাক হওয়ার প্রবণতা আরও বাড়বে। যদি হ্যাকাররা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই সিস্টেমকে হ্যাক করতে পারে তাহলে উক্ত প্রকল্পের বিপর্যয় বা ধ্বংস হতে পারে।


মানবতা সভ্যতা বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা: 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই যদি সুপার পাওয়া দেওয় হয় তাহলে এটি মানুষের বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে ফলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইকে ব্যবহার করে সহজেই মানুষকে ধ্বংস করতে পারে। উদাহরস্বরূপ, যুদ্ধের সময় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহার করে মানুষকে নিংশেষ করা সুযোগ থাকবে।

উপরোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করলে আমরা বুঝতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এর সুপার পাওয়ার যখনই মানুষের নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে তখন এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষের উপকারের চেয়ে অপকারও কম হবে না।

 

 আরও পড়ুনঃ হাতের লেখা এআই কি? কিভাবে এআই হাতের লেখা তৈরি করা হয় (alert-success)

 

 

FAQs

১।  কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি?

উত্তরঃ মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তা শক্তিকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তি নির্ভর করে যন্ত্রের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলে। 

২।  কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই সুপার পাওয়ার কেমন হবে?

উত্তরঃ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এর সুপার পাওয়ার মানুষের অনুভতি, বুদ্ধি, কল্পনাসহ সব কাজ করতে পারবে ফলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই মানুষের নিয়ন্ত্রণে বাইরে চলে যেতে পারে।

 

শেষ কথাঃ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যত উপকার যত অপকার সবই মানুষের হাতের নাগালে মানুষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে যেভাবে ব্যবহার করবে এর ফলাফল সেভাবেই পাবে। 

 

 

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Check Now
Ok, Go it!