ছবিঃ সংগ্রহকৃত |
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কেন এত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে!
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিনদিন আরো শক্তিশালী হচ্ছে। একটা সময় ছিল যখন মানুষের অনেক কষ্ট করে একটি বাক্য টাইপ করতে হতো। অনেক সময়ের প্রয়োজন হতো। কম্পিউটারগুলো ছিল অনেক বড় বড়। য সহজে বহন করা যেত না। মানুষ কম্পিউটার ব্যবহার শিখল তাকে আরও সহজ করতে পারল। একটা সময় পার্সোনাল কম্পিউটারের জয়গান শুরু হলো। মানুষ তখন কম্পিউটারে প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করল যুগে যুগে কম্পিউটার বিপ্লব হচ্ছে। কম্পিউটার ডিভাইসগুলোকে আরো শক্তিশালী করা হচ্ছে। কম্পিউটার ডিভাইসগুলো পরিচালনা বা চালানোর জন্য বিভিন্ন সফটওয়ারের প্রয়োজন হয়। এই সফটওয়ারগুলোকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে। এক ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সুবিধার যুক্ত করা হচ্ছে ফলে ব্যবহারকারী নিজেদের কাজকে আরও সহজ দ্রুততার সাথে করতে পারছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিকে আরও শক্তিশালী করার জন্য বিজ্ঞানীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যেভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি অগ্রসর হচ্ছে এক সময় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুপার পাওয়ারের যুগে প্রবেশ করবে বিশ্ব। সেদিন হয়তো বেশি দূরে নয়।
(toc) #title=(লেখাতে যা যা থাকছে-)
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি?
মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তা শক্তিকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তি নির্ভর করে যন্ত্রের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলে। সহজভাবে বলতে গেলে মানুষ যে কাজগুলো নিজের বুদ্ধি বা চিন্তা শক্তি দিয়ে সম্পূর্ণ করে সেই কাজগুলো মেশিনের মাধ্যমে পরিচালনার প্রযুক্তি হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিন দিন অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযক্তি বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের বিভিন্ন কাজে সহায়তা করছে।
আরও পড়ুনঃ গুগল বার্ড এআই চ্যাটবটের মাধ্যমে কিভাবে ছবি তৈরি করবেন? (alert-success)
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা জনপ্রিয় হওয়ার বেশকিছু কারণ রয়েছেঃ
সবখানে যখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এআই এর ব্যবহার।এআই এর প্রযুক্তির অনেক বিষয়ই এখোনো অজানা। এই প্রযুক্তি নিয়ে কিছু নতুন বিষয় সামনে এসেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে বুঝতে এসব জানা জরুরী। সিস্টেমগুলো প্রাথমিক ও কমপ্লেক্স কাজ গুলো তেরি করতে সক্ষম। এর সাথে সাথে তার দক্ষতা আরো বৃদ্ধি পায়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষ ডেটা সংগ্রহ করতে কাজ করে থাকে এটি ডাটা থেকে বিশেষ ধরণের জ্ঞান উৎপন্ন করে যা একজন মানুষের জন্য অত্যন্ত কঠিন হতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিগত উন্নতির সাথে ব্যক্তিগত বিকাশের সাহায্য করতে পারে। এটি ব্যক্তিগত পছন্দের ভিত্তিতে উত্তর দিতে পারে। বৃহত্তর স্কেলে ব্যবহার কারীদের সাথে ইন্টারেকশনে সাহায্য করার মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শক্তি শালী হয়ে উটেছে। সামাজিক মাধ্যমে এর প্রচার করতে পারে এটি কোন প্রতিষ্ঠানের এর মান কোন প্রতিষ্টানের সাথে যোগাযোগ করে সাহায্য করতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সিস্টেমগুলো বিভিন্ন ধরনের তথ্য বা ডাটা সংগ্রহ এবং ব্যবহার করে এবং এটি আরো সমৃদ্ধ বিনিময় করতে সাহায্য করে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারঃ
মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তা শক্তিকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তি নির্ভর করে যন্ত্রের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলে। কম্পিউটারকে মিমিকস কগনেটিক এককে আনা হয় যাতে করে কম্পিউটার মানুষের মত ভাবতে পারে। যেমন শিক্ষা গ্রহন এবং সমস্যার সমাধান। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হল মেশিন দ্বারা প্রদর্শিত বুদ্ধি।কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আর্টিফিশিয়ার ইনন্টেলিজেন্ট (এআই) একটি গবেষণা ক্ষেত্রে প্রযুক্তি যা কম্পিউটার সিস্টেমের মাধ্যমে মানুষের বুদ্ধিমত্তা বা জ্ঞানের কিছু বৈশিষ্ট অনুকরণ করে। এটি অনেকে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে যেমনঃ- গেমস ডিজাইন, রোবোটিক্স, ভাষা, অনুবাদ, নিরাপত্তা, ও অন্যান্য অনুষ্ঠান সমূহ। আধুনিক কম্পিউটার প্রোগ্রাম ব্যবহার করে। ডাটাসেটগুলির মধ্যে থাকা নিবন্ধন করা করা এবং তারপরে তাদের বিশ্লেষন করা যেমনঃ- চিহ্ন অনুমান ইত্যাদি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে রোবোটিক্স এর ক্ষেত্রে স্বাভাবিক মানুষের কাজ গুলো না হলেও ভবিষৎ এ মানুষের কাজ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বা আর্টিফিশিয়ার ইনন্টেলিজেন্টএক সময় এসব করতে সক্ষম হবে।কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা করে সুপার্ কম্পিউটার ও বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়া যায় যেটি ব্যবহারকারীর সঙ্গে সাধারণ ভাবেনা থাকলেও এর সহযোগিতা করতে পারে।
শিক্ষার ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এর ব্যবহারঃ
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আর্টিফিশিয়ার ইনন্টেলিজেন্ট (এআই) এর ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আরো কার্যকারী এবং উপকারীতা সরবরাহ করা যায়। কিছু ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি ব্যবহার সম্পর্কে বিবেচনা কার হয়েছে।
(AI) ব্যবহারকরে শিক্ষার্থীদের প্রতিটি শিক্ষার প্রক্রিয়ার জন্য ব্যক্তিগত মূলক শেখার অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়। এটি তাদের শেখার পদ্ধতি এবং পেশাদার এর প্রতি যেতে সাহায্য করে। (AI) ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অনুশীলন এবং পর্যালাচোনা করার জন্য পূর্বের তথ্য সংগ্রহ করে উত্তর দিতে পারবে।(AI) শিক্ষার্থীদের স্বাধীনভাবে অনুশীলন এবং শেখার মাধ্যমে অনুভব করার সুযোগ প্রদান করে।এটি তাদের ব্যক্তিগত শিক্ষা সহায়তা এবং তাদের নিজেদের জন্য শিক্ষার পথ পরিচালনা করতে সাহায্য করে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়ার ইনন্টেলিজেন্ট (AI) শিক্ষা ক্ষেত্রে আমাদের অনেক সুদিধা হয়েছে। শিক্ষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বহুমাত্রিক ব্যবহারের অর্থ হবে এর সম্পূর্ণ কাঠামো পরিবর্তন করা। কিন্ত সঠিকভাবে যদি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করা যায় এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যদি এর দক্ষতার উন্নতি করতে পারে, তাহলে সেটা একইভাবে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য বাড়তি সহায়ক হতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) শিক্ষার্থীদের প্রয়োজর্নীতা অনুসারে কোর্স সাজাতে তাদের দুর্বলতা চিহ্নিত করতে এবং সেই অনুযায়ী তাদেরকে মতামত জানাতে পারে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একটি যথাযথ সুপারিশসহ বিশদ প্রতিবেদন তৈরি করতে পারে এবং শিক্ষকের কাছে পাঠাতে পারে। এমনকি শিক্ষার্থীরাও একই ভাবে নিজেদের দুর্বলতা খুজে নিয়ে তা কটিয়ে উঠতে পারে।
যানবাহন এর ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এর ব্যবহারঃ
যানবাহন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারে ব্যপক আয়োজন ও প্রস্তুতি হচ্ছে বহু সাধারণ উদাহরণ এর মাধ্যমে। যানবাহন (এআই) ব্যবহার করে অবৈধ গতিবিধি বা সাংঘাতিক অবস্থায় পূর্বাভাস পাওয়া যায়। (এআই) ব্যবহার করে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ যায় যদিও যানযটের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমান সংখ্যার মাধ্যমে কিন্ত সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি আসলে কতটা ভয়াবহ তা এতটু গভির ভাবে পর্যালোচনা করলে অনুমান হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে রাস্তায় বসানো সেন্সর ক্যামেরার মাধ্যমে সকল গাড়ির তথ্য একটি সার্ভার সেন্টার নিয়ে নেওয়ার হবে এবং এখান থেকে সব সিন্ধান্ত নেওয়া হবে এবং এটি (এআই) এর মাথ্যমে তা প্রয়োগ করতে হবে। এই তথ্যের মাধ্যমে থাকবে গাড়ির ধরণ, মালিক, গাড়ির অবস্থান প্রয়োজনীয় সব তথ্য পাওয়া যাবে। (এআই) এর মাধ্যমে শুধু গাড়ির তথ্য না এবংকি পথচারির সব তথ্যও নেওয়া হবে। প্রয়োজন হলে এই কাজ করার জন্য স্যাটেলাইটের সাহায্য নেওয়া হবে।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করা যায়ঃ
হ্যাঁ, চিকিৎসা ক্ষেত্রে বৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করা যায়। এআই অ্যালগরিদম এবং এআই চালিত অন্যান্য পেশাদারে ক্লিনেক্যাল সেটিংস এবং চলমান গবেষণা সহায়তা করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্তমানে চিকিৎসা সেটিংসে এআই এর জন্য সবচেয়ে সাধারণ ভূমিকা হলো ক্লিনিক্যাল সিদ্ধান্ত গ্রহন করে।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করা যায় এবং এটি বিভিন্ন উদ্দেশ্য ব্যবহার হয়ে যায়। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের স্বাস্থ সেবা পরিষেবা উন্নত করা, রোগের পূর্বাভাস করা নিদিষ্ট রােগের প্রতিটি প্রকার বুঝতে সাহায্য করা এবং চিকিৎসকদের সাথে সহযোগিতা করা যায়। বৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সেবা উন্নত করার সাথে সাথে রোগীদের চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে ডায়াগনেস্টিক প্রসেস ও চিকিৎসা পরিকল্পনা সম্পর্কে সাহায্য করে। এই বুদ্ধিমত্তা সিস্টেম রোগের প্রথম চিকিৎসা পর্যায়ে সহায়তা করতে পারে, যেখানে একটি রোগের অবস্থান যা রোগের মাধ্যমে সমাধান করতে সাহায্য করে। এআই এইচআইভি, এডিস, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ইত্যাদি ধরণের রোগের প্রতি প্রকারে চিকিৎসা সম্পর্কে ডাটা সংগ্রহ করে পরামর্শ করতে সাহায্য করে।
এআই সিস্টমগুলো শিক্ষার্থীদের সাথে প্রযুক্তির ব্যবহার করে ঔষধ, রোগীদের রিপোর্ট তৈরি, ঔষধ সম্পর্কে তথ্য এবং চিকিৎসা পরিকল্পনা প্রস্তুত করতে সাহায্য করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)।
আরও পড়ুনঃ লুমিয়ের এআই কি? গুগুল লুমিয়ের এআই দিয়ে কি করা যায়? (alert-success)
FAQs-
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি?
উত্তরঃ মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তা শক্তিকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তি নির্ভর করে যন্ত্রের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলে। সহজভাবে বলতে গেলে মানুষ যে কাজগুলো নিজের বুদ্ধি বা চিন্তা শক্তি দিয়ে সম্পূর্ণ করে সেই কাজগুলো মেশিনের মাধ্যমে পরিচালনার প্রযুক্তি হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
শেষ কথাঃ-
আমি আপনাদের মাঝে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কেন এত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে! এই সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা দেওয়ার চেস্টা করেছি আপনাদের যদি আমাদের এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে আমাদের পাশে থাকুন ধন্যবাদ।